০৩:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে ধানকাটা উৎসবের উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় ১২:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪
  • / 86

কৃষিমন্ত্রী অতিথি ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে খেতে ধান কাটছেন।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধানকাটা উৎসবের উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর উত্তসূর এলাকায় হাইল হাওরে বর্ণাঢ্য এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

খেতে ধান কাটছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ

উৎসবের আয়োজক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এই আয়োজনের সহযোগী ছিলো শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হাওরে ধান কাটার জন্য ৭০ শতাংশ ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের মধ্যে ১০টি কম্বাইণ্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পানির ব্যবস্থা করতে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ক্যানেল নির্মাণ করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র কৃষদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এছাড়াও উন্নত বীজ, সারও বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।”

মন্ত্রীসহ অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে নেওয়া হচ্ছে ধানখেতে

কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “পতিত জমি খালি রাখা যাবেনা। সব জমি চাষের আওতায় এনে নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধান উৎপাদন করতে হবে। দেশে উদপাদিত পণ্য বিদেশে যাতে রপ্তানি করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “এ বছর খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টন। ধানের দামে যেন মধ্যসত্ত্বভোগী কেউ সুবিধা নিতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রকৃত কৃষকরাই যেন সঠিক দামে ধান বিক্রি করতে পারে সে দিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”

ধানকাটা উৎসবে গ্রাম-বাংলার নৃত্য পরিবেশন

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

উৎসবস্থলে অতিথিদের বরণ করেন কিশোরীরা

এর আগে মন্ত্রী অতিথি এবং দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছাতা মাথায় কাচি নিয়ে খেতে নেমে ধান কাটেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও অভ্যাগতদের স্বাগত জানিয়ে গ্রাম-বাংলার ধামাইল ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় শিল্পীরা।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

শ্রীমঙ্গলে হাইল হাওরে ধানকাটা উৎসবের উদ্বোধন করলেন কৃষিমন্ত্রী

আপডেট সময় ১২:৫২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪

কৃষিমন্ত্রী অতিথি ও দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে খেতে ধান কাটছেন।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ধানকাটা উৎসবের উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর উত্তসূর এলাকায় হাইল হাওরে বর্ণাঢ্য এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।

খেতে ধান কাটছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ

উৎসবের আয়োজক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট। এই আয়োজনের সহযোগী ছিলো শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী হাওরে ধান কাটার জন্য ৭০ শতাংশ ভর্তুকিমূল্যে কৃষকদের মধ্যে ১০টি কম্বাইণ্ড হারভেস্টার মেশিন বিতরণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে পানির ব্যবস্থা করতে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে ক্যানেল নির্মাণ করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তির কৃষিযন্ত্র কৃষদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। এছাড়াও উন্নত বীজ, সারও বিনামূল্যে দিচ্ছে সরকার।”

মন্ত্রীসহ অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে নেওয়া হচ্ছে ধানখেতে

কৃষকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, “পতিত জমি খালি রাখা যাবেনা। সব জমি চাষের আওতায় এনে নতুন নতুন উচ্চফলনশীল জাতের ধান উৎপাদন করতে হবে। দেশে উদপাদিত পণ্য বিদেশে যাতে রপ্তানি করা যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।”

তিনি বলেন, “এ বছর খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টন। ধানের দামে যেন মধ্যসত্ত্বভোগী কেউ সুবিধা নিতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রকৃত কৃষকরাই যেন সঠিক দামে ধান বিক্রি করতে পারে সে দিকে কঠোরভাবে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।”

ধানকাটা উৎসবে গ্রাম-বাংলার নৃত্য পরিবেশন

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য মো. জিল্লুর রহমান, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবির, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক তাজুল ইসলাম পাটোয়ারি, কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের অতিরিক্ত পরিচালক মো. মতিউজ্জামান, সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহ মো. হেলাল উদ্দিন, মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের উপ-পরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমদ, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন প্রমুখ।

উৎসবস্থলে অতিথিদের বরণ করেন কিশোরীরা

এর আগে মন্ত্রী অতিথি এবং দলের নেতা-কর্মীদের নিয়ে ছাতা মাথায় কাচি নিয়ে খেতে নেমে ধান কাটেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ও অভ্যাগতদের স্বাগত জানিয়ে গ্রাম-বাংলার ধামাইল ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রীমঙ্গলের স্থানীয় শিল্পীরা।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ দলের অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।